ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এক কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন। এঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। ঘটনাটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি সকালবেলা ইউনিয়নের কামারখালি আলহাজ্ব হযরত আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ডুকে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার শার্টের কলার ধরে ধাক্কা দেয় চেয়ারম্যান সহিদ হাওলাদার।
ভুক্তভোগী কামারখালি কলেজের অধ্যক্ষ মো: জাকির হোসেন বলেন, আমি এই কলেজে ৯/১০ বছর যাবত কর্মরত আছি। গতবছর কলেজের একটি নিয়োগে চেয়ারম্যান সহিদ হাওলাদারের পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতে পারেনি বলে অযথা আমার অফিস রুমে এসে আমাকে গালাগালি করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরেই আমি বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি যাহার অভিযোগ নম্বর -৭৪। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পরে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করতে গেলে তাতেও বাধাঁ দেয় সহিদ হাওলাদারের বাহিনী।
এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যান সহিদ হাওলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কামারখালি কলেজের এক শিক্ষক বলেন, সহিদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতের ওয়ারেন্ট আছে তারপরও সে প্রকাশ্যে চলাফেরা করেছেন এবং ওয়ারেন্ট থাকাকালীন সময়েই কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অধ্যক্ষ স্যার থানায় যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার কোনো সুফল হবে বলে আমি মনে করিনা। চেয়ারম্যান সহিদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলসহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ধরা কে সরা করেই চলছেন এই বিতর্কিত চেয়ারম্যান।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সহিদ হাওলাদারকে প্রশ্ন করলে ফোনটি কেটে দেন তিনি। তার সকল অপকর্মের বিচার চায় দাঁড়িয়াল ইউনিয়নবাসী।
এ প্রসঙ্গে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সত্যরঞ্জন খাসকেল বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।