শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

লালমোহনে ১১বছরের শিশু নিখোঁজের ৭ মাসপর পরিত্যক্ত খালে মিলল মাথার খুলিও হাড়গোড়

 

মোঃ ছাইফুল ইসলাম-(জিহাদ), নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ভোলার লালমোহনে ১১বছরের শিশু নিখোঁজের ৭ মাসপর পরিত্যক্ত খালে মিলল শিশুর মাথার খুলি ও হাড়গোড়।

(২৭মার্চ রবিবার) বিকেলে লালমোহন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ওয়েষ্টার্ণপাড়া শেখের দোকানের পশ্চিম পাশে কালভার্ট সংলগ্ন খালে এই খুলি ও হাড়গোড় সহ পাওয়া যায় শিশুর পড়নে থাকা পেন্টের বেল্ট।

গত ৭ মাস আগে লালমোহন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড শেখের দোকান আলী আহাম্মদ মৌলভী বাড়ির রাশেদের একমাত্র সন্তান ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র রায়হান (১১) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়।

উদ্বারকৃত খুলি ও হাড়গোড় ওই শিশুর বলে দাবী করেন নিখোঁজ শিশুর পিতা মোঃ রাশেদ। তবে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, খুলি ও হাড় পরীক্ষা না করে তার আগে কার তা বলা যাবে না।

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন নামে এক ব্যাক্তি পরিত্যাক্ত খালের মধ্যে মাছ ধরার জন্য গত শনিবার থেকে কচুরিপানা পরিস্কার করার জন্য ২জন শ্রমিকে কাজ করার জন্য নামায় খালে। রোববার সন্ধ্যার আগে শ্রমিক সেলিম কচুরিপানা পরিস্কার করার সময় প্রথমে মানুষের মাথার খুলি পান। এরপর আরও ২টি হাড় পান।

খবর পেয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় দেহের বাকী হাড়গোড় খোঁজার জন্য পুণরায় একজন শ্রমিককে নামানো হয় খালে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একই স্থানে আরো কিছু হাড়গোড় ও প্যান্টের বেল্ট পাওয়া যায়।

শ্রমিক সেলিম জানান, বরিবার দুপুরের পর খালের কচুরিপানার মধ্যে একটি মজবুত কার্ড পুতা ছিল, সেটি টান দিলে’ই প্রথমে মাথার খুলি ভেসে উঠে। এরপর দুইটি হাড় পাই সেখানে। মানুষের মাথার খুলি পাওয়ার কারনে পরে আমরা খাল থেকে উঠে যাই এবং পুলিশকে খবর দেই।

লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, মানুষের মাথার খুলি পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বাকী হাড় খোঁজার জন্য খালে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে আরো কিছু হাড় পাওয়া যায়। এই খুলি ও হাড়গুলো কার তা সনাক্ত করতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট ও তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।

নিখোঁজ শিশুর রায়হানের পিতা মোঃ রাশেদ জানান, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে খেলাধুলার জন্য শিশু রায়হান বাড়ী থেকে বের হয়ে শেখের দোকানের দিকে খেলতে গেলে সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে রায়হানকে অনেক খোঁজা খুঁজি করি তাকে অনেক খোঁজার পরেও পাওয়া যায়নি।

এঘটনার পরেরদিন আমি লালমোহন থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। উদ্বারকৃত খুলি ও হাড়গোড় তার নিখোজ ছেলের বলে তিনি দাবী করেন। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ