নোয়াখালী ব্যুরো:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর রাজস্ব অর্থায়নে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল আউশ ধানের জাত সমূহের পরিচিতি, আধুনিক চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিনা উপকেন্দ্র, নোয়াখালীর হলরুমে বুধবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রায় ৬৫ জন কৃষকের উপস্থিতিতে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে বিনা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বিনা’র মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বিনা’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং বিনা’র পরিচালক (গবেষণা ) ড. মোঃ আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. আজিম উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক, বিএডিসি, সুবর্ণচর, নোয়াখালী এবং সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ হারুন অর রশিদ। ভার্চুয়ালী আরও বক্তব্য রাখেন বিনা’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (গবেষনা সমন্বয়ক) ড. মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন বিনা’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রায়হান শিকদার, ফার্ম ম্যানেজার ফররুখ আহমেদ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা’র মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বিনা উদ্ভাবিত সল্পজীবনকাল বিশিষ্ট খরা সহিষ্ণু বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ চাষাবাদে কৃষকদের নানাবিধ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বিনাধান-১৯ জাতটির উদ্ভাবক বিনা’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতটি খরা সহিষ্ণু হওয়ায় সল্প বৃষ্টিপাতেও ১০০ দিনে ভাল ফলন দিতে সক্ষম। বক্তারা দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ণতা ধরে রাখতে আউশ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ সমাপান্তে ৬৫ জন কৃষকের মাঝে বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ এর প্রায় ৩০০ কেজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।