বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

বরিশালের সেজাদ আত্মসমর্পণ করে জেলহাজতে ধর্ষন মামলার আসামী

 

বিশেষ প্রতিবেদক: জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামী ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ এখন জেলহাজতে দিন কাটাচ্ছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার কারনে মান সম্মানহানীর ভয়ে আসামী নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। তবে গোপন সূত্র জানায় আসামী সেজাদ তার প্রভাবশালী খালু ও চাচাদের সাথে যোগসাজেশ করে এই মামলা থেকে অব্যহতি নিতে নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে নারায়নগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পনের আবেদন করে।

ঘটনার কারন অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত ওকোহামা লেবেল এন্ড প্রিন্টিং নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০১৭ সালে ‘আর্টওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট’ পদে চাকরি নেয় ভুক্তভোগী তরুণী। চাকরিসূত্রে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সেজাদ প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় ভুক্তভোগী নীলা (ছদ্মনাম)। তবে হাল ছেড়ে দেয় না সেজাদ, ইনিয়ে বিনিয়ে তরুনীকে প্রেমের ফাদে ফেলতে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সেজাদ একা গিয়ে নীলার বাসায় হাজির হয়। তবে নীলার বাবা মা সেজাদের পরিবারের কাউকে সাক্ষী ছাড়া বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। সেজাদ তার পরিবারের সদস্যদের রাজি করানোর নাম করে ১ বছর সময় নেয়। আর এই সময়টাতেই নীলাকে ভোগ করার নীল নকশা করে সেজাদ।

২০১৯ সালের ১ মার্চ জন্মদিন উদযাপন করার কথা বলে, ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ নীলাকে (ছদ্মনাম) সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর মুগদায় কর্মরত ফয়সাল নামের এক বন্ধুর কক্ষে নিয়ে যায়। সেজাদের পূর্ব পরিকল্পনা মতে ফয়সাল নামাজের কথা বলে তাদের দুজনকে কক্ষে রেখে বাইরে দিয়ে ছিটকানি লাগিয়ে দেয়। এসময় সুযোগ বুঝে যৌন পীড়ন শুরু করে সেজাদ। নীলা (ছদ্মনাম) বাঁধা দিলে এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন হোটেলে নিয়েও একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। নীলা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে ভোল বদলায় সেজাদ। নীলাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে সেজাদ। খালুর প্রভাব খাটিয়ে নীলাকে চাকরিচ্যুত করে সেজাদ। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া শুরু করে।

একটা পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী নীলা (ছদ্মনাম) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন বরিশালের আবু তাহের মাহমুদ খোকনের ছেলে ইমরিয়াজ মাহমুদ সেজাদের বিরুদ্ধে। যার মামলা নং মোকাম নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশুর মামলা নং /২০২০।

তবে মামলা হলেও দীর্ঘদিন পেরোলেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামী সেজাদ। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মেডিকেল রিপোর্ট ও পিবিআইর তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিললে তড়িঘড়ি করে সেজান নিজেই ছক কষে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের চেষ্টা চালায়। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নারায়নগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছে সেজাদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ