সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্রগ্রামের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচা বাজারের পিছনে আলিশাহ্ নগরে অবস্থিত, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হযরত আবু বক্কার (রাঃ) ইসলামিক কিন্ডারগার্ডেন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ৩য় বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং রোজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর আলিশাহ্ নগর এলাকার মাঠে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারী মোঃ আব্দুর রহিম ও মাহফিল পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বন্দরটিলার জমিদার মোঃ আজম
মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোকিত করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। জনাব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী আরিফ বিল্লাহ্ জিহাদী (মুফাচ্ছেরে কুরআন,ঢাকা) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোরআন-হাদিস থেকে আলোচনা করেন মওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ, কোরআন শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম বিভাগ।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে কোরআন ও হাদিসের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন হজরত মাওলানা জিয়াউল হক নোমানী (খতিব দারুচ্ছালাম জামে মসজিদ বন্দরটিলা- চট্রগ্রাম)
চট্টগ্রাম থেকে আগত সম্মানিত প্রধান মেহমান আলহাজ্ব মোঃ জিয়াউল হক সুমন কাউন্সিলর ৩৯নংওয়ার্ড ইপিজেড চট্রগ্রাম।
বিশেষ মেহমানঃ-আলহাজ্ব মোঃ আসলাম সাবেক কাউন্সিলর ৩৯নং ওয়ার্ড চট্রগ্রাম।
যথাক্রমে আরও উপস্থিত ওলামা মাশায়েখ স্থানীয় ইমাম ও খতিব পরিচালক ও শিক্ষকবৃন্দ ও চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অনেক আলেম ওলামাগণ। মাহফিলে ওয়াজ শুনতে চট্টগ্রাম জেলার দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন এলাকার মুসুল্লিগণ উপস্থিত থেকে ধৈর্য সহকারে কোরআন ও হাদিসের আলোচনা শুনেন।
বক্তারা কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোকিত করে আলোচনা করে বলেন মুসলমানদের ১ম কাজ হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, নামাজ পড়লে সকল বালা- মুসিবত থেকে রক্ষা পাবে, ইহকালে যেমন শান্তি, পরকালে ও তেমন মুক্তি রয়েছে, খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর কাছে বেশী বেশী তওবা করবেন।
বক্তারা আরো বলেন, দেশ থেকে অপরাধমুক্ত ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য নামাজের ভূমিকা অপরিসীম। দেশে তখনই শান্তি আসবে মানুষ যখন আনুগত্য করবে, প্রতিটি কাজে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) কে অনুসরণ অনুকরন করতে হবে মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ মৃত্যুর স্বাদ সকলের গ্রহণ করতে হবে, কখন আসবে কার মরণ কোন হিসাব নেই। তবে আখেরাতের কামাই করে এই পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হবে, আখেরাতের কামাই না করলে জাহান্নামের ভাগীদার হইতে হবে।
উক্ত মাহফিলে আরো বিভিন্ন বক্তা গণ কোরআন ও হাদিস থেকে হেদায়েতের জন্য ঋণ সম্পর্কে বলেন, কারো ঋণ নিয়ে কবরে যেওনা কাহারো হক ঠকিওনা কারন এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আল্লাহ নিজে ক্ষমা করবেন না। আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে সকলকে সঠিক পথে চলার নসিহত করে সবশেষে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্ত করেন।