বরিশালের বাজারে দু’দিন হলো ইলিশের দেখা মিলছে, তবে ইলিশের সঙ্গে এবারে বাজারে হঠাৎ করেই নদীর পাঙ্গাসের আমদানি বেড়েছে।
বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ বেসরকারি মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী রোজেন জানান, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে দু’দিন হলো বাজারে নদীর ইলিশ আসতে শুরু করেছে।
প্রতিবছর এমন সময় ইলিশের সঙ্গে অন্যান্য নদীর মাছও পাওয়া যায়। তবে এবারেই বেশ ভালো পরিমাণে নদীর পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে।
তার মতে, বেশি পরিমাণে পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যাওয়ায় মনপ্রতি দাম কমেছে ২-৩ হাজার টাকা। বর্তমানে পোর্টরোডের বাজারে আকারভেদে ২০-২৫ হাজার টাকা মনপ্রতি নদীর পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে বলে জানান রোজেন।
এদিকে মেহেন্দিগঞ্জের জাঙ্গালিয়ার বাসিন্দা ও আবুল কালাম জানান, তিনিসহ আশপাশের অনেকেই কালাবদর, মাসকাটা, লতা, মেঘনা, তেতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করেন। দুই দিনে তার গ্রামের অনেকেই নদীতে ছোট-বড় পাঙ্গাস পেয়েছেন।
তিনি বলেন, নদীর ছোট একটি পাঙ্গাস পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবারের সঙ্গে খেয়েছেন, বেশ সুস্বাধু লেগেছে। সেইসঙ্গে মাসকাটায় পাওয়া বড় আকারের পাঙ্গাসটি বিক্রি করে দামও ভালো পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, মৎস বিভাগ সরকারের নির্দেশনায় যে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে, তার সুফল এটি। সারা বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকে। যেমন নির্ধারিত সময়ে আমদের ইলিশ ধরা, জাটকা ধরা বন্ধ থাকে। এছাড়া কারেন্টজালসহ ছোট ফাঁসের জাল ও চাই ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়। এসবের মূল লক্ষ্য মাছের ছোট পোনাগুলো যাতে ধ্বংস না হয়।
তিনি বলেন, ইলিশকে লক্ষ্য করে আমাদের কার্যক্রমগুলো করা হলেও সঙ্গে সঙ্গে অন্য মাছের পোনা ধ্বংসের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। এতে একটি বিষয় টার্গেটে থাকলেও অন্যগুলো সংরক্ষণ হচ্ছে। এর ফলে নদীতে পাঙ্গাস, আইর, রামসোস, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নদীতে জাল একেবার না থাকায়, বাধা না পাওয়া পাঙ্গাসগুলো ওপরে ওঠার সুযোগ পেয়েছে এবং গোটা নদী এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর পাঙ্গাস যেহেতু খাবার পছন্দ করে তাই যেখানে খাবারে প্রাচুর্যতা বেশি সেখানে পাঙ্গাসের দেখা মিলবে এটাও স্বাভাবিক।