ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র কারণে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এখনও উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
গতকালেন মতো আজো সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে। সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে রবিশস্য ও পাকা আমন ধানের ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিম্নচাপটি আজ (রোববার) সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। আজো সকল মাছ ধরা সকল ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত কৃষিখাতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে আগাম রবিশষ্য চাষিরা বৃষ্টির কারণে সবজি চারা রোপণ করতে পারেনি। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির ধারা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।