সুমাইয়া আক্তার শিখা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কারী মোহাম্মদ সামছুল আলমের মৃত্যুতে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন,
কারী মোহাম্মদ সামসুল আলম। নেত্রকোনার মানুষ। ধবধবে সাদা দাড়ী, লম্বাটে শরীরের গড়ন। সত্তোরোর্ধ বয়স। এই বয়সেও সবসময় শুধু আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকতেন। মিটিঙে যখন উপস্থিত থাকতেন, কথা বলতেন, জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতেন। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য সারা জীবন তার চেষ্টা সাধনা ছিল অসামান্য। প্রথম জীবনে তিনি হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তাবলীগে অনেক সময় ব্যয় করেছেন। কিন্তু দ্বীন প্রতিষ্ঠার বাস্তব কর্মসূচি সবসময়ই অনুসন্ধান করতেন। অবশেষে তার অনুসন্ধানী মন তৃপ্ত হয় হেযবুত তওহীদের সন্ধান পাবার পর।
সরকারি চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যও রেখেছেন। শেষে দ্বীনের বিনিময় নেওয়া যাবে না- এই সত্য বোঝার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কায়িক পরিশ্রম করে সংসার চালানোর। সোনাইমুড়ী শহীদী জামে মসজিদে বেশ কয়েকটি জুমা আদায় করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় সক্রীয় থাকতেন। কোনোদিন দেখিনি কারো বিরুদ্ধে গীবত বা পরনিন্দা করতে।
আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় ছিলেন। কিন্তু আমার সামনে এত বিনয় ও ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলতেন যেন আমি তার বয়োজ্যেষ্ঠ। মিটিঙে কোনো কথা বলার আগে অনুমতি চেয়ে নিতেন।
সর্বশেষ যখন উত্তরার মিটিঙে সাক্ষাৎ হলো, শুধু একটা কথা বলেছিলাম- “কারী সাহেব, বর্তমানে করোনা সঙ্কট চলছে। আপনারও বয়স বেড়েছে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অত্যাধিক ওজন শরীরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।” আমার আশঙ্কাই সত্য হলো।
ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন। এক গ্লাস পানি খেয়ে নাকি হঠাৎ করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। তার পরিবার থেকে এখনও মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি। তবে ধারণা করছি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় ইন্তেকাল করেছেন।
এভাবেই প্রিয় মানুষগুলো চলে যাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, হে আল্লাহ, কারী সাহেবের পরিবারকে সবর করার তওফিক দান করো। জান্নাতের উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্থানে তাকে সম্মানিত করো।