কামাল চৌধুরী, নোয়াখালী থেকে :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষনিক হস্তক্ষেপে উম্মে সালমা আলম (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী এবারের মত বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে উক্ত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলাম।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জিয়াউল হক মীর বলেন, বুধবার দুপুরে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্য বিয়ের আয়োজন করার খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছামিউল ইসলামকে পুলিশ ফোর্সসহ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কন্যার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিক বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তাকে ৩হাজার টাকা অর্থদন্ড করে। বরপক্ষও তাদের দোষ স্বীকার করায় একই আইনে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে কনের মা ১৮ বছরের আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
ইউএনও জিয়াউল হক মীর আরো জানান, এছাডাও গত (২১ নভেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তপেক্ষপে আরো একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।