শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

টিউবওয়েল স্থাপনের নামে মাসুদ চক্রের প্রতারণা

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ
শোয়েব হোসেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের স্থানীয় প্রভাবশালী কুচক্রী মাসুদ হাওলাদার এক মাসের মধ্যে টিউবওয়েল স্থাপনার আশ্বাসে অজ্ঞাত জনদের সহযোগে 1000 অসহায় দরিদ্র জনগণের কাছ থেকে সর্বমোট 20 লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে সুদীর্ঘ ছয় টি বছর ধরে নানান অজুহাতে ও ক্ষমতার দাপটে দেব ,দিচ্ছি ,দেখছি, যাচ্ছি ,ইত্যাদি বক্তব্যে প্রতারণা ও হয়রানি মূলক কার্যক্রম চলমান রেখেছেন মর্মে প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া গেছে ।ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

খবরে প্রকাশ, অভিনব কায়দায় সরকারি ডিপ টিউবওয়েল প্রদানের বিশ্বস্ত ও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে নিজস্ব কুবুদ্ধি , স্থানীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সহজ সরল মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে মাত্র এক মাসের মধ্যেই টিউবয়েল এর সুবন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি অন্তত 20 হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় এই মাসুদ চক্র। তারপর মাসের পর মাস বছরের পর বছর সীমাহীন অপেক্ষার প্রহর গুনিয়ে চরম ধৈর্য স্খলন ঘটিয়ে অবশেষে নিজ ষড়যন্ত্র মূলক কর্মকান্ডের বদৌলতে সকলের কাছে বিশ্বাসঘাতক ,প্রতারক ও কুচক্রী বাহিনীর সদস্য হিসেবেই প্রমাণ করেছেন এই ভন্ড মাসুদ। টিউবওয়েল দেয়া তো দূরের কথা,টাকা ফেরত দেয়ার নাম গন্ধও পাওয়া যাচ্ছেনা মাসুদের মুখে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার তিন নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার এর পুত্র এই মাসুদ হাওলাদার।
মাসুদের পাশের বাড়ির আব্দুল খালেক শিকদারের পুত্র ভুক্তভোগী কালাম শিকদার বলেন প্রায় 6 বছর আগে টিউবওয়েল দেয়ার নামে মাসুদ আমাদের কাছ থেকে মোট 20 হাজার পাঁচশত টাকা নেয় ।এতদিনেও দিতে পারেনি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানান বানোয়াট ও আবোলতাবোল কথা বলে ভয় দেখায় ।আবার এলাকার লোকদের বলে বেড়ায় যে ক্ষমতা থাকলে কালাম যেন টাকা তুলে নিয়ে যায় ।এলাকাবাসীরা জানান, মাসুদ ধূর্ততার সাথে বহু লোকের টাকা হস্তগত করে অনর্থক কালক্ষেপণের মাধ্যমে অনেক রকম পাঁয়তারা দেখিয়ে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে আসলেই টাকা ফেরত দিবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগীরা বলেন, মাসুদের কাছে টাকা চাইতে গেলে ভয়ানকভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। মনে হয় বড় কোন বিপদ ঘটিয়ে ছাড়বে ।কিছু কিছু ভুক্তভোগী বলেন ,পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বহুবার আমরা অপমানিত হয়েছি ।জানা গেছে টাকা ফেরত না পেয়ে সুবিচারের আশায় কেউ কেউ আজও দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আবার অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত হয়রানি ও অতিষ্ঠ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে গত বছর ডিসেম্বরে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী গণ সরেজমিনে মাসুদের বাড়িতে গেলে সৌজন্যমূলক পরিচয় ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে গোপন ক্যামেরায় মাসুদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ধারণ করা সম্ভব হয়। টিউবওয়েলের জন্য টাকা দিয়েছে 1000 জন ব্যক্তি তার মাঝে তৎকালীন জনৈক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও আছে বলে মাসুদ জানান। সবিনয়ে টাকা ফেরতের অনুরোধ জানালে মাসুদ শীঘ্রই টাকা ফেরত দেবেন বলে দ্রুত সাংবাদিকদের বিদায় করেন ।কিন্তু ,বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় পরের দিন থেকেই প্রতারক মাসুদ তার এলাকায় বীরদর্পে বলে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক আমার কি করবে ?কত সাংবাদিক দেখলাম ইত্যাদি। এভাবেই বিশ্বাসঘাতক ,ভয়ানক ,উদ্ভট ও অসামাজিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও বরাবরের মতোই নিশ্চিন্তে মহাসুখে নির্বিচারে বেপরোয়া বীর বাহাদুরের মত দিন অতিবাহিত করছেন মাসুদ।
সমাজের সচেতন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান এই ডিপ টিউবওয়েল আসলে সরকার ফ্রি দিয়ে থাকেন। কিন্তু সুযোগ বুঝে দালাল ও প্রতারক মাসুদ চক্র সহজ সরল মানুষদের ধোকা দিয়ে ফায়দা লুটেছে ।এদের বিরুদ্ধে সরকারবাদি মামলা হওয়া উচিত ।পরিশেষে ভুক্তভোগীগণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মাধ্যমে মাসুদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুতভাবে সুদে-আসলে পাওনা আদায় সহ উচিত বিচারের দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ