অনলাইন ডেস্ক ॥ সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা ছিলো অনেক বেশী। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজমানের প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন নগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। নগরীর মূল সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নি¤œ এলাকার সড়ক ডুবে ছিলো হাটু সমান পানিতে। অসময়ে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির কারনে থমকে ছিলো গোটা নগর জীবন। দিনভর রাস্তা ঘাট, দোকানপাট শপিংমল ছিলো জন শূন্য। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার চিত্র। একেতো বৃষ্টির পানি তার সাথে যোগ হয়েছিল জোয়ারের পানি। অতিরিক্ত পানির চাপ হওয়ায় তা জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। সকাল থেকেই নগরীর নবগ্রাম রোড, বগুরা রোড, বটতলা, ভাটিখানা, কালিবাড়ি রোড সহ পুরো নগরীর বিভিন্ন অভ্যন্তরীন ও শাখা সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে ছিলো। এতে করে চলাচলের বিরম্ভনা সহ নগর বাসিকে পোহাতে হয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। পানিতে ডুবে সড়কের খানাখন্ড চোখের আড়াল হওয়ায় ঘটেছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিচুর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি রের্কড করা হয়েছে।
মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তায় সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা থাকলেও আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বরিশালে স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন তেলেঙ্গানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের অন্যত্র সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
যে কারনে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।