শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণ মামলার আসামি এখন জেলে। জন্মদিনে সারপ্রাইজের নামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ:

 

পিন্টু শেখ, ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার :

আদালতের আদেশে পিবিআই এর কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মেডিকেল রিপোর্ট ও পিবিআই তদন্তের মাধ্যমে তরুণীর সাথে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়।
এখন তদন্তে এবং মেডিকেল রিপোর্টএ সব সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং জজ এর আদেশে ওয়ারেন্ট বের হয় এখন আসামি নিজেই স্যালেন্ডার করে ৩ রাত যাবত থানায় আছে।আসামি তার প্রভাবশালী খালু এবং চাচাদের সাহায্যে মামলাটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই ফন্দি করে ওয়ারেন্ট বের হওয়ার সাথে সাথেই নিজে গিয়ে স্যালেন্ডার করে এবং ৩ দিন এর মাথায় জামিন নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ কোর্টএ আবেদন করে। আসামি এখন নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আছে।
ওই তরুণী আরও জানায়, পরিচয়ের পর থেকে সেজাদ প্রতি মাসে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে তরুণীর কাছ থেকে টাকা নিত। এমনকি পিতার লোনের টাকা পরিশোধ করতেও ওই তরুণীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয় ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ।
গত ২১-০২-২০২১এ ঘটনাটির নিউজটি প্রকাশিত হলে তারপর থেকে ভুক্তভোগীকে মোবাইল ফোনে বলে যে নিউজটি ভুল বলে সবার সামনে শিকার করে মামলাটি উঠায় নিলে সে তরুনিকে বিয়ে করবে একা। একথায় তরুনী রাজি না হলে তাকে মোবাইল ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেন ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ।
এর পর থেকে সে নানা ভাবে নিউজটি মিথ্যা বলে প্রচার করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, যে সব সাংবাদিক ভাইরা নিউজটি প্রকাশ করে তাদের সে নানান ভাবে টাকার প্রভাব দেখিয়ে কিনার চেষ্টা করে আর ওই তরুনীর সাথে সাংবাদিক ভাইদের নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। সে তার প্রভাবশালী খালুর কোম্পানিতে চাকরী করায় সে সব কিছুতে খালুর প্রভাব নিয়ে চলে।
তরুণীর অভিযোগ, একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের পর সেজাদকে বিয়ের কথা বললে, তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রেমিক সেজাদ বরিশাল নিজ গ্রামের বাড়ি চলে যায়।
ইমতিয়াজ মাহামুদ সেজাদ ও তার ফ্যামিলির লোক মিলে মেয়েটিকে চাকরি চ্যুত করে যেহেতু ওই অফিসের বস সেজাদ এর খালু হয় সেই সুবাদে তারা ফ্যামিলির সকলে মিলে তরুনীকে চাকরি চ্যুত করে এবং শারীরিক সম্পর্ক জানার পর বিয়েতে অস্বিকার জানায় সেজাদ ও তার পরিবার।
২০১৭ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে ‘আর্টওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট’ পদে চাকরি নেয় তরুণী। চাকরিরত অবস্থায় একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ। তরুণীকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তরুণী এতে সাড়া না দিলে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সেজাদ একাই তরুনীর বাসায় যায় । এতে তরুনীর ফ্যামিলির লোক সেজাদ এর কাছে একা বিয়ে দিতে নারাজ হয়ে সেজাদ এর ফ্যামিলিকে আনতে বলে তখন তার পরিবার ওই তরুণীর বাসয় যায়। তখন বিয়ের কথা সেজাদ এড়িয়ে গিয়ে তার ফ্যামিলির সাথে নাটকীয় ভাবে ১ বছরের সময় নেয় বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ তরুনীর সাথে বিয়ের কথা বলে অবৈধভাবে তার সাথে বার বার শরীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। ৬/৭ মাস বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বন্ধুর বাসা হোটেলে সময় কাটায় সেজাদ নিজের পারিবারিক অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। তরুণীদের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করায় সেজাদকে সরল বিশ্বাস করে তরুণী ও তরুণীর পরিবার।
তরুণী জানায়, ২০১৯ সালের ১ মার্চ জন্মদিন উদযাপন করার কথা বলে, ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ ওই তরুণীকে রাজধানীর মুগদায় কর্মরত ফয়সাল নামের এক বন্ধুর কক্ষে নিয়ে যায়। ওই বন্ধু নামাজের কথা বলে তাদের দুজনকে কক্ষে রেখে বাইরে দিয়ে ছিটকানি লাগিয়ে দেয়।
এ সময় বিয়ের কথা বলে তরুণীর সাথে শারিরীকভাবে লিপ্ত হতে চাইলে তরুণী রাজি না হলে একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ। এই ঘটনার পর তরুণী বার বার বিয়ের কথা তুললে নানা অজুহাত দেখায় ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ।
পরে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। বরিশালের ওই যুবকের বিরুদ্ধে মোকাম নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশুর মামলা নং /২০২০ বাদী নাফিসা নুসরাত মীম ঘটনার তাং ১৭/০৭/২০ ইং সময় বিকাল ০৩.৪৫ ঘটিকা স্হান বাদীনির বসত বাড়ী ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সং শোধনী /০৩) এর (১)/৩০/ অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদ (২৭)। সে বরিশালের সদর উপজেলার লাকুটিয়া বাজার এলাকার আবু তাহের মাহমুদ খোকনের ছেলে। নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অবস্থিত ওকোহামা লেবেল এন্ড প্রিন্টিং নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজাদের সাথে পরিচয় ঘটে ওই তরুণীর।
বক্তব্যে ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ। সেইসাথে চাকরি হারিয়ে সে চরমভাবে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে। এমনকি একাধিকবার আত্মহত্যা করতেও উদ্যত হয়। গত বছরের করোনাকালীন সময়ের তিন মাস যাবৎ কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে শক্ত করে তোলেন বলে জানান। সেজাদ গ্রাম থেকে ফিরে গোপনে ওই প্রতিষ্ঠান এর গুলশান শাখায় যুক্ত হয়েছে। তরুনী সেজাদ এর খোঁজে সেখানে যাওয়ায় তাকে পুলিশ পাঠিয়ে সেজাদ হুমকি দেখায়।সেজাদ এর কিছু ব্যক্তিগত সাংবাদিক এর আগে প্রতিবাদ নিউজ করেছে যে ঘটনা মিথ্যা বানোয়াট কিন্তু এখন তদন্তে এবং মেডিকেল রিপোর্ট এ সব সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং জজ এর আদেশে ওয়ারেন্ট বের হয় এখন আসামি নিজেই স্যালেন্ডার করে ৩ রাত যাবত থানায় আছে।আসামি তার প্রভাবশালী খালু এবং চাচাদের সাহায্যে মামলাটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই ফন্দি করে ওয়ারেন্ট বের হওয়ার সাথে সাথেই নিজে গিয়ে স্যালেন্ডার করে এবং ৩ দিন এর মাথায় জামিন নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ কোর্টএ আবেদন করে। আসামি এখন নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ