ঢাকার ধামরাইয়ে একটি কারখানায় তর্কের জেরে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারী শ্রমিককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
আহত সোনিয়ার অভিযোগ, তিনি ও তার ভাই মামুন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার বাংলা জুট নামে একটি হস্তশিল্প কারখানায় কাজ করেন। সোমবার বিকেলে মেশিন নষ্টের অভিযোগ তুলে মালিকের ভাই হায়দার তার ভাই মামুনকে প্রথমে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন ও পরে মারধর করলে তিনি এর প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার গেটের বাইরে সোনিয়া ও মামুনকে হাতুড়িপেটা করেন মালিকের ভাই হায়দারসহ অন্যরা।
সাথিয়া খাতুন নামে কারখানাটির আরেক শ্রমিক বলেন, সোমবার বিকেলে কারখানায় কাজ করার সময় মামুনের মেশিন নষ্ট হলে মালিকের ভাই হায়দার তাকে গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করলে হায়দার মামুনকে ঘুষি মারেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে মামুনের বোন সোনিয়া মামুনকে নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে মালিকের ভাই হায়দার তার সহযোগী হযরত, রুবেল, শহীদ ও ফকির মিলে তাদের আটকে মারধর করেন। এ সময় সোনিয়া ও মামুনকে হাতুড়ি দিয়েও পেটানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার মালিক হযরত ফকির জাগো নিউজকে বলেন, পুরো বিষয়টা এখন ভিন্ন খাতে গেছে। আমি মীমাংসা করতে চাচ্ছিলাম। এ জন্য স্থানীয় মাতব্বর সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে একটা ঝামেলার কথা শুনেছিলাম।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, আগে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, তাই মামলা হয়নি। তবে শুনেছি রাতে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।