কামাল চৌধুরী, নোয়াখালী থেকে :
দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা নিঝুম দ্বীপের পথে পথে দ্বীপবাসী ও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইতি মধ্যে ভেঙে গেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা।
জানা যায়, নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে যেতে ছোয়াখালী খালের ওপরের সেতুটি ধসে পড়েছে। সেতু থেকে নামার বাজার পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশের প্রধান সড়কের বেহাল দশা । এ সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ থেকে মাটি সরে সড়ক ভেঙে পড়ে গেছে খালে ।
এদিকে পর্যটক ও এলাকা বাসীর চলাচলের জন্য স্থানীয়দের তত্ত্বাবধানে ভেঙে পড়া সেতুর পাশে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের সাঁকো। সে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। নিরুপায় হয়ে ভারী মালামালও সাঁকো দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা এ সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছেন।
বাসিন্দা সবুজ জানান, গত জুলাই-আগস্টে বর্ষার প্রবল জোয়ারে নিচ থেকে মাটি সরে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর কিছু দিন নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হলেও যানবাহন ও মালামাল পারাপারে খুব অসুবিধা হতো। নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন সেতুর পাশে কাঠের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। এ সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও ভারী যানবাহন পারাপারে খুব সমস্যা হচ্ছে।
নিঝুম দ্বীপ ঘুরে আসা পর্যটক মো. শাহ আলম জানান, ভাঙা সেতু ও বেহাল সড়কের কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক এ দ্বীপে ঘুরতে আসেন। শীতের সময় চলে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় পর্যটকের আগমন অন্যবারের তুলনায় অনেক কম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, উদ্যানের প্রবেশ মুখের সেতু ও সড়কটি নতুন করে নির্মাণের ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসকে জানিয়েছি। উনি এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেতু ও সড়কের কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।