দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গেপসাগরে ডুবে যাওয়া ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও দুবলারচর ফিশারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায়।
মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিল। হঠাৎ উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায়।
শুক্রবার রাতের আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেলে অধিকাংশ জেলেই সাঁতরিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। তার পরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন।
শনিবার সকাল থেকে জেলে, বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। নিহত দুই জেলের লাশ তাদের বাড়িতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনার পর বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও দুবলারচর ফিশারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে প্রায় শতাধিক ট্রলার উদ্ধারের জন্য সাগরে রয়েছে। এখনও অনেক জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর্যন্ত বঙ্গেপসাগরে ডুবে যাওয়া ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।