রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় এক বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে, পুলিশ। মা-মেয়ের লাশ বিছানায় পড়েছিল। আর স্বামীর লাশ ঝুলছিল ঘরের আড়ায়।
শনিবার গভীর রাতে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সবুর আলী (৩০), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৬) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯)। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়। পরিবারটি আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকায় এক ব্যক্তির টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতো। রোজিনা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সবুর অটোরিকশা চালাতেন। আর তাদের মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়তো।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে রোজিনা আক্তার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে স্বামী সবুর আলীকে অটোরিকশা কিনে দেন। গত বুধবার অটোরিকশাটি চুরি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই কলহের জের ধরেই গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সবুর ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গত দুদিনে পরিবারটির সদস্যদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিনের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিলে সবুর আলীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা আশুলিয়া থানা-পুলিশকে খবর দেন। এরপর রাত ৯টার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।