মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যেকোন উন্নয়ন কাজ করতে হলে চসিকের সাথে সমন্বয় করে করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিয়ে যে সংকট এখন বিদ্ধমান তা এই শুকনো মৌসুমে শেষ করতে হবে। ১৮টি খালে যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা অবগত করেছে তা সম্পূর্ণভাবে পানি চলাচলের উপযোগি করতে হবে। নগরীর প্রকৃতি বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হলো অবৈধভাবে পাহাড় কাটা এবং খাল, নালা-নর্দমায় বর্জ্য ফেলা। লক্ষ্য করা যাচ্ছে কর্ণফুলী নদী যেভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে পুরো বাংলাদেশ অচল হয়ে যাওয়া। সুতরাং এখন থেকেই এব্যাপারে সর্তকতার সাথে ব্যবস্থা নেয়া আজ সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে।
আজ রোববার (৯ জানুয়ারী) টাইগারপাসস্থ চসিক অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলবদ্ধতা সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যে ৩৬টি খালগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হচ্ছে তার বাইরে যে ২১টি খাল রয়েছে তার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে তাতে নতুন প্রকল্প গ্রহণপূর্বক জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণ নিরসনে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, বে-টার্মিনালের নির্মাণের যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তাতে নগরীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। চসিক নগরীতে যে সড়কগুলো নির্মাণ করছে তা দিয়ে ৮-১০টনের বেশি পণ্যবাহী গাড়ী চলাচল করার উপযোগী নয় তবে বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের ৩০-৪০টনের গাড়ি চলাচল করছে এতে করে সড়ক সমূহের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি এবিষয়টি বিবেচনায় নিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
তিনি অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা প্রবণ চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, চান্দগাও, বহদ্দারহাটসহ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে এসব স্থানে অবস্থিত খালসমূহের উন্নয়ন কাজ এই শুকনো মৌসুমের মধ্যে শেষ করার প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন, জনদুভোর্গ লাঘবে যে কাজগুলো করা আবশ্যিক সেগুলো সম্পন্ন করতে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই, যথাযথ কর্তৃপক্ষই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এইক্ষেত্রে বিলম্ব বা দীর্ঘসূত্রতার কোন অবকাশ নেই। তিনি জানান ইতিমধ্যে ছোট খাল নালা-নর্দমার পরিচ্ছন্নতার কাজ চসিক শুরু করেছে। তিনি সিডিএ কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প বর্হিভুত খাল, নালাসমূহের তালিকা চসিককে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ জানান।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চউক সচিব মো. আনোয়ার পাশা, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামছ, বন্দরের সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার মো. নাছির উদ্দিন, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি রায়হান মাহবুব, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ফরহাদুল আলম, রাজীব দাশ, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী প্রমুখ।