আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকন্ঠিত। -(সুরা মাআরিজ আয়াত : ১৯-২০)।
তাই আল্লাহ রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের চাদর সব সময় আমাদের আবৃত করে রাখেন।
আল্লাহতায়ালা বলেন, যদি তোমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়া না থাকত, (তা হলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে) আর নিশ্চয়ই আল্লাহ অধিক তাওবা গ্রহণকারী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নুর আয়াত : ১০)
অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে চাইতে হবে। আর আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রার্থনা ফিরিয়ে দেন না।
আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের রব বলেছেন— ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা অহঙ্কার বশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। -(সুরা গাফির আয়াত: ৬০)।
জীবনে ইচ্ছা পূরণের অনেক উপায় খুঁজে বেড়িয়েছেন। মনের আশা পূরণ করতে অনেকের কাছে গিয়েছেন।
গলায় তাবিজ ঝুলিয়েছেন। পীরের পা ধোয়া পানি খেয়েছেন। অনেক কষ্টে অনেক সাধন করেছেন। সব কিছু থেকে বিফল হয়ে নিরাশ হয়ে পড়েছেন। অথচ এটা ভাবেননি যে, মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কী বলেছেন?
হাদিসে রয়েছে- একবার হজরত আনাস (রা.) রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল এবং নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল-
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা! হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’
তখন নবীজি (সা.) বললেন, এ ব্যক্তি ‘ইসমে আজম’ পড়ে দোয়া করেছে, (‘ইসমে আজম’ মহান আল্লাহর এমন নাম) যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং যে নামে তার কাছে চাওয়া হলে তিনি সব চাওয়া পূরণ করেন। (আবু দাউদ) অর্থাৎ এই দোয়াটি হল ‘ইসমে আজম’।
দোয়াটি পাঠ করলে মহান আল্লাহ মুমিন বান্দার মনের সব ইচ্ছা পূরণ করবেন। আল্লাহতায়ালা আমাদের মনের সব ভালো ইচ্ছা পূরণ করুন। আমিন!