ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ৩/২/২২ ইং রাজশাহী জজ কোর্টে র আইনজীবী মো:রেজাউল হক মতিহার থানার মামলা নং ১৬ তাং ২২/১/২২ ইং দায়েরকৃত মামলার অভিযুক্ত মো:আইয়ুব আলীর নিকট থেকে ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে আরএমপি র মতিহার থানার ওসি/মো:আনোয়ার আলী তুহিন ও উক্ত মামলার বাদী এসআই/আমিনুর রহমান কে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগে তাহাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
গত ২১/১/২২ ইং গভীর রাত্রী ১১:৪৫ মিনিটে মতিহার থানার এস/আই আমিনুর এএসআই/আলমগীর ও কন্সটেবল/হানিফ মতিহার থানাধীন খোঁজাপুর এলাকা থেকে ৩ বস্তায় ৩৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পরবর্তীতে ১টি বস্তায় সম্পূর্ণ ৩৫০ বোতল ফেন্সিডিল একত্রে করে মোটর সাইকেল যোগে থানায় চলে যায় এসআই/আমিনুল ও তাঁর সাথে থাকা এএসআই,কনস্টেবল।যার ভিডিওটি এখন রাজশাহীর সাংবাদিকদের হাতে।
থানায় যাওয়ার পর পরবর্তী দিন ২২/১/২২ ইং তারিখ বিকাল ৩:৪০ ঘটিকায় মাত্র ৫০ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে মতিহার এলাকার পারভেজের দ্বিতীয় সন্তান দ্বিপু(৩০) এবং ঐ দিন রাজশাহীতে না থাকা আইয়ুব আলী(৪০)কে প্রধান পলাতক আসামী করে মামলা রুজু করেন এসআই/আমিনুল।বিষয়টি জানাজানি হলে উক্ত মামলার দ্বিতীয় আসামী লিখিত ভাবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান সহ রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ও সকল সংবাদপত্রের সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে মতিহারের ওসি ও এসআই/আমিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।অভিযোগের বাদি মামলার দ্বিতীয় আসামী আইয়ুব আলী লিখিতভাবে জানান,”গত ২০/১/২০ ইং তারিখ থেকে চিত্তবিনোদনের জন্য সে কক্সবাজার অবস্থান করছিলো এবং গত ২২/১/২২ ইং বিকালে সে রাজশাহীতে এসে জানতে পারে তাঁর নামে মাদক মামলা হয়েছে।”সে প্রতিবেদক কে আরো জানায়”প্রয়োজনে আমার মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে আমার অবস্থান সম্পর্কে তদন্ত করুক পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং দোষী এসআই/আমিনুল ও এএসআই/আলমগীর সহ থানার ওসি/তুহিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।আমি কখনো মাদকের ব্যবসা করিনি এবং মাদক গ্রহণও করি না।আমার অনুপস্থিতি তে আমার বাবা,মা ও বৌ কে ১লাখ২০হাজার টাকা দাবি করে এস/আই আমিনুর,এএসআই/আলমগীর ও কনস্টেবল হানিফ।বার বার তাঁরা বলে যদি টাকা না দিই ওসি স্যারকে তাহলে ওসি স্যার আমাকে পঙ্গুকরে দিবে মেরে।বাসায় এসে জানতে পারি এ সব ঘটনা। পরবর্তীতে লোকে বলাবলি করলে জানি টাকা না দেয়ায় ওসি/তুহিন আমার নামে মিথ্যা পলাতক মামলা দিয়েছে।
অনুসন্ধানি প্রতিবেদন
গত ৮/১/২২ ইং এসআই/আমিনুর ও এএসআই/আলমগীর মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় সংলগ্ন বটতলা এলাকা থেকে ডাসমারী মধ্যপাড়া এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী কাবিল কে ১০০বোতল ফেন্সিডিল সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে কিন্তু ১০নং বিওপি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জিয়ার নামে মাত্র ২৫ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে পলাতক মামলা রুজু করে এবং অবশিষ্ট ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল মতিহার এলাকার , জালটাকা ও মাদক মামলার আসামী ও তাদের নিজস্ব সোর্স কসাই জনির নিকট বিক্রী করে ৭৫ হাজার টাকায়।
গত ১২/১/২২ ইং মতিহার থানা এলাকার ডাসমারী ঈদগাহ মোড় বৌ বাজার এলাকার মো:ফজলু আলীর ছেলে মো:সুখচান আলী@তজু(৩২) র নিজ বাড়ি থেকে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার করে এসআই/আমিনুর ও এএসআই /আলমগীর কিন্তু ৫০হাজার টাকার বিনময়ে মুক্তি দেয় এই দূর্নীতি গ্রস্থ অফিসার আমিনুর ও আলমগীর আর এদের সব কাজকে জায়েজ করেন। পুকুর খ্যাত কর্ণহার থানার সাবেক ওসি বর্তমান মতিহারের ওসি/তুহিন।
এই দূর্নীতি গ্রস্থ ওসি ও অফিসারদের অত্যাচারে মতিহার এলাকায় সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত।দ্রুত এদের বিভাগীয় ও ফৌজদারী শাস্তি দাবি করেন মতিহারের সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ।