মাসুদ আলী পুলক রাজশাহী ব্যুরোঃ অবশেষে আদালতের নির্দেশে দখলকৃত জমি থেকে ডাক্তার দম্পতির বাড়ি উচ্ছেদ করলো প্রশাসন।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইস্কেবেটার মেশিন দিয়ে পুরো এক তলা বিল্ডিং ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন আদালতকতৃক প্রতিনিধি ও চন্দ্রিমা থানার এসআই ওহিদ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
পরে শতাধিক স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জমিতে লাল পতাকা পুতে ও ঢোল বাজিয়ে জমির প্রকৃত মালিক মোসাঃ আসমা খাতুনকে তার প্রাপ্ত জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভুয়া দলিলে জমি দখল করে বাড়ি নির্মান করে বসবাসকারী দখলদারের বাড়ি উচ্ছেদের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
গত ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে এ রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায় দখলদার মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহান দলিল বাতিলের একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেই মামলাতেও তাদের বিপক্ষে রায় প্রদাণ করেন আদালত। কিন্তু কুট কৌশল অবলম্বন করে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহীনি ভাড়া করে সেই জমিতে তাদের নির্মিত বাড়িতে ভাড়াটিয়া রাখেন।
অবশেষে গত (২৪ জুন) জমি থেকে বাড়ি উচ্ছেদের আদেশ দেন সাব জজ -১ এর আদালত।
জমির মালিক ভুক্তভোগী নারী মোসাঃ আসমা খাতুন। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার বালিয়া পুকুর এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের স্ত্রী।
তিনি জানান, মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহানের নজরে পড়ে। শুরু হয় জমি দখলের প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত তারা স্থানীয় গুন্ডাবাহিনী ভাড়া করে ক্রয়কৃত জমিটি দখল করেন। পরে সেই জমিতে তারা একতলা বাড়ি নির্মান করে বাড়ি ভাড়া দেন।
এরপর কোন উপায় না দেখে ১ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখে ভুক্তভোগী আসমা বেগম নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতে কোন প্রতিকার পাননি।
পরে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের দারস্ত হন। অবশেষে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক তার পক্ষে সমস্ত রায় প্রদান করেন।