ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহনে সেচ প্রকল্পের আওতায় খাল খনন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির অনিয়ম, স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ এবং নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছেন লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্য কালমার কাটাখালি খালটি।
স্থানীয়রা এটিকে বাকলাই বাড়ীর খাল হিসেবে জানে। জানাযায় ২৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদার মহিবুল হক নামে জনৈক ব্যাক্তি প্রায় ২ কিলোমিটার কাটাখালি খালটি খননের কাজ শুরু করে ঠিকাদার। খালটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার কথা থাকলেও কিছু কিছু স্থানে মানুষ দিয়ে কাটিয়েছেন ঠিকাদার। আবার ভেকু মেশিন দিয়ে পানির মধ্যে কোন রকম খাল খননের কাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খালটি খননের সময় ভেকু মেশিনের ড্রাইভার কামাল খাল পাড়ের মানুষের কাছে টাকা দাবী করে। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করে কামাল ড্রাইভার ভেকু মেশিন দিয়ে তাদের বাড়ীঘর, পানের বরজ সুপারি, নারিকেল ও ফল গাছ নষ্ট করে রাস্তা তৈরী করে। স্থানীয় যারা টাকা দিয়েছেন তাদের কোন কিছু’ই নষ্ট করেনাই ড্রাইভার কামাল। এমনকি যেখানে টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের সেখানে ভেকুর পরিবর্তে মানুষ দিয়ে খাল খননের কাজ করেন ওই ঠিকাদার। খাল খনন কাজে ঠিকাদারের কাজ দেখার দায়িত্বে থাকা রাকিব হোসেন এই সব টাকা ড্রাইভারকে দিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম মৃধা, আকবর মৃধা, বারেক মৃধা, ইউনুছ, আব্বাছ, কামিক দাস, প্রিয় লাল দাস, রনজিত নুরজাহানসহ আরো অনেকে এই অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, তিন নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মোঃ মোশারফ সাঝি ঠিকাদারের দালাল হিসাবে বিভিন্ন লোকজনের কাছে টাকা দাবি করেন। স্থানীয় অনেককে টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক ভাবে গাছ পালা ভাংচুর করেন।
অভিযুক্ত স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করা ভেকুর ড্রাইভার কামাল বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি, আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে আমি সেভাবে কাজ করেছি। অভিযুক্ত ঠিকাদারদের লোক রাকিবকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। বিএডিসির লোক বলতে পারবে। তারা যেভাবে বলছে সেভাবে কাজ করা হয়েছে। রাকিবের কাছে ঠিকাদার মহিবুল হকের নাম্বার চাইলে তিনি তার নাম্বার দিতে অস্বীকার করার কারনে ঠিকাদেরর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আকিব হোসেন বলেন, আমি লালমোহন ও বোরহানউদ্দিনের দায়িত্ব পালন করছি। আমি ওই এলাকার খাল খনন কাজ পরিদর্শণ করেছি। কোন অনিয়ম করে থাকলে সেটা ঠিকাদারের লোক করেছে। এ ব্যাপারে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। আমার কিছু বলার নিয়ম নেই।
বিএডিসি লালমোহনের খাল খননের দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুজ্জামান ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছি, উক্ত খাল খনন করতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে। স্থানীয় হুমায়ুন কবিরের বিশেষ অনুরোধে তার গাছ রক্ষার্থে ৫০০ ফুটের মত খাল কোদালে কাটা হয়েছে।