শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেনকে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবারই জেলা প্রশাসক মোবাইল ফোনে তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তদন্তের অফিশিয়াল কোনো আদেশ তিনি হাতে পাননি। তবে রোববার পত্রটি হাতে পাবেন এবং সেদিনই তিনি তদন্ত শুরু করে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলেও তিনি জানান।
নাটোর সদরের চন্দ্রকোলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একই এলাকার বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে দরিদ্র পরীক্ষার্থী জরিপ আলী টাকার অভাবে প্রবেশপত্র তুলতে পারেনি। তাই বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত থাকে।
পরীক্ষার প্রায় শেষ সময়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কেন্দ্র সচিব নাটোর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম করিমের মাধ্যমে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে এনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে তিনি নিজে কেন্দ্রে এসে কলেজের সেশন ফিসহ পরীক্ষার ফিয়ের দুই হাজার একশত টাকাও পরিশোধ করেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জরিপ আলীর বাবা নেই, মা মানসিক রোগী। টাকার অভাবে সময়মত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার খবর শুনে তাৎক্ষণিক তিনি তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন এবং কেন্দ্রে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তার কলেজের পাওনাদি পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিছুটা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও এমন দরিদ্র পরিবারের সন্তানের একটি বছর নষ্ট হোক তিনি কোনোভাবেই তা হতে দিতে চাননি।
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি পারভিন যুগান্তরকে জানান, জরিপ আলী করনিকের নিকট থেকে প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত না করায় তিনি জরিপ আলীকে সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ পাননি।