বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

স্ত্রীর সাথে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করার জন্য উকিল নোটিশ পাঠানোর পরপরই মিথ্যা মামলার স্বীকার স্বামী।

 

বাকেরগঞ্জ রিপোর্টঃ
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে ২০২০ সালের মার্চ মাসে লামিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দেন মোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী লামিয়া আক্তারকে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ স্বর্নগহনা ও কাপর চোপর দেওয়া হয়। বিবাহের পরে তাদের সংসার ভালোই কাটছিলো। চাকরি সূত্রে শফিকুল ইসলাম হিজলা থানার হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চাকুরীতে চলে যান। চাকরী চলাকালীন লামিয়া ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের মধ্যে আন্তরিকতার ঘাটতির প্রতিফলন দেখা যায় । এমনকি লামিয়া তার স্বামী শফিকুল ইসলাম কে না জানিয়ে অন্য কারো সাথে বরিশাল গিয়ে মহিলা কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়। লামিয়া আক্তার কলেজে ভর্তির ব্যাপারে স্বামী কে অবহিত না করে অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে ভর্তি হন, স্বামী শফিকুল ইসলাম গোপন সূত্রে জানতে পারে তার স্ত্রী অপরিচিত একজন ছেলেকে নিয়ে অনার্সে ভর্তি হওয়ার ছেলেটির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান শফিকুল ইসলাম । স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর সম্মান যাতে সমাজে ক্ষরণ না হয়,সেজন্য স্বামী শফিকুল ইসলাম তার কর্মরত হিজলা থেকে বাকেরগঞ্জের ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে চাকুরির জন্য বদলী হয়ে চলে আসেন। আর তখনই লামিয়ার প্রেমে গুড়ে বালি। এরপর থেকেই লামিয়া আক্তারের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কিছুদিন পূর্বে তাদের একটা ছেলে সন্তান হলেও বাচ্চাটি মারা যায়। তাদের শোকাহত জীবন তাতেও ক্ষান্ত হননি। লামিয়া আক্তার পরকিয়া প্রেমের সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেন শফিকুল, তারই জের ধরে তিনি নতুন কৌশল অবলম্বন করে সামনে হাঁটছেন।বাচ্চা ছেলে মারা যাওয়ার ৩ দিন পরেই তিনি শফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে বাপের বাড়ি পালিয়ে যান। তিনি মিথ্যা মামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছেন শফিকুলকে। শফিকুল ইসলাম তার সাথে যোগাযোগ করলে লামিয়া বেগমের বাবা প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।

সন্তান হারানো বাবা শফিকুল ইসলাম স্ত্রী কে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চান। স্ত্রী লামিয়া সংসার মুখী না হওয়ার করানে বুক ভরা ভালোবাসা আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অটল ভালোবাসা মধ্য দিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করার জন্য শফিকুল আদালত এর শরনাপন্ন হয়ে লামিয়া আক্তারকে তার বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য উকিল নোটিশ পাঠান। এতে লামিয়া আক্তার আরো ক্ষিপ্ত হয় শফিকুল ইসলামের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দমিয়া রাখার চেষ্টা চালান। বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ