রাজধানীর ডেমরায় কসমেটিক ক্রয়ের পাওনা ১৫০০ টাকার জন্য লাথি মেরে দুই সহোদর ভাই মোছা. আশা আক্তার (২৭) নামের এক অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আশা ও তার স্বামী রুবেলকে (৩২) বেধড়ক মারধর করাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি আশার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ডেমরা থানায় অভিযুক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোনাপাড়া শাহাজালাল রোডের পলাশ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- কোনাপাড়া শাহাজালাল রোড এলাকার ফজলু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার পলাশবাড়ীয়া গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার (২৮), স্বপন মিয়া (৩৫) ও তার ভাই শরীফ মিয়া (২৬)।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই স্বপন ও শরীফকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে ডেমরা থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, গৃহবধূ আশা কসমেটিক ব্যবসায়ী। গত ৫ মাস পূর্বে স্বপনের স্ত্রী শিরিনের কাছ থেকে আশা ২৫০০ টাকার কসমেটিক বাকিতে ক্রয় করেন। ওই কসমেটিক বিক্রি করতে না পারলেও আশা এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর রুবেলকে তারা (আসামি) তাগাদা দিয়ে গালমন্দ করেন।
ওসি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাকি টাকা পরিশোধ না হলেও গত ২৭ অক্টোবর ১৫০০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। এর দুইদিন আগেই গত ২৫ অক্টোবর তারা বেআইনিভাবে আশাদের ঘরে প্রবেশ করে স্বপন ও শরীফ লাথি মেরে আশার গর্ভপাত ঘটায়। এ সময় প্রতিবেশীরা আশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।