কামাল চৌধুরী, নোয়াখালী থেকে :
অভিযানের নামে ৩ জনকে থানায় আটকে রেখে ৩৩ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ।
গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী নারী রুফিয়া খাতুন (৪০) বলেন, আমার ছেলে সম্রাটকে (২২) চর হাজারী বাজার থেকে থানায় এনে হাজতে আটকে রাখে। থানা থেকে এস আই মাহফুজ আমাকে টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বলে। আমি যদি টাকা না নিয়ে যাই তাহলে আমার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণ করে দিবে বলেও হুমকি দেয়। আমি ১৩ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে যাওয়ার পর আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়।
এবিষয়ে স্পেন ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রায়হান বলেন, এসআই মাহফুজ আমাকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে। থানায় আটকে মোট ৩ জন থেকে ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা নেয়া হয়। সেখান থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদকে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছে বলে মাহফুজ আমাকে জানায়। যার কল রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে এস আই মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। আমি এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমাকে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাচ্ছে।
এদিকে উক্ত ঘটনার পরপরই কোম্পানীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসিকে বদলী করা হলেও এসআই মাহফুজের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির ( তদন্ত) বদলি আদেশের পরও বহাল তবিয়তে একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণমাধ্যম কর্মীদের।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ যদি সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।