শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

লালমোহনের চরছকিনায় রেনু গং এর সঠিক কাগজপত্রের পরেও জমি বেদখল করতে মরিয়া আবুল কালাম গ্যংরা

 

লালমোহন প্রতিনিধিঃ

ভোলার-লালমোহনে মোস্তফা গং ও আবু কালাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। রেনু গংয়ের ওই জমি থেকে কয়েকটি রেন্ড গাছ বিক্রি করলে আবুল কালাম গংরা বাধা প্রধান করে আসছে। জানাযায়, কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা ৫ নং ওয়ার্ডের সেকান্দর মুন্সি বাড়ীর মোস্তফা স্ত্রী রেনু গং ও আবুল কালাম গংদের মধ্যে চরছকিনা মৌজার ২৯৪৫,৪৬,৪৭ নং দাগের বসত বাড়ীর ১০৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। মোস্তফা গং এর স্ত্রী রেনু বেগম জানান, আমাদের এই জমি নিয়ে কালাম গংদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিলি,আমাদের ভোগ দখলীয় জমিতে অহেতুক বাধা প্রধান করিলে ২০০৪ সালে কালমা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদর গ্রাম্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করি, ওই মামলার দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে, মামলার চূড়ান্ত রায় চরছকিনা মৌজা ২৯৪৭ নং দাগে জমির পরিমাণ ১৯ শতাংশ। এবং ২৯৪৫ নং দাগে ৫৮ শতাংশ উক্ত দাগে বাড়ি, বাগান, পুকুর ভিটাসহ মোট ৭৭শতাংশ জমি রায় দেন গ্রাম্য আদালত। আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম গংদের এস.এ খতিয়ান ২৮৮ ও ২৯৪৬ দাগ উক্ত খতিয়ানের ২৯৪৫ দাগে বাড়ি,দরজা, পুকুরসহ মোট ২৬ শতাংশ জমি রায় দেন। আবুল কালাম গং এবং মোস্তফা গং এর স্ত্রী রেনু গংদের মনোনীত শালিশ বোর্ড, কালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন, মাসুদ বিশ্বাস, কাঞ্চন মাল, লকিতুল্যাহ মেম্বার, রতনসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতে বিজ্ঞ শালিগণ এই রায় দেন। এই জমি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করেছি, হঠাৎ করেই আবুল কামাল গং এই জমি নিজেদের দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে ভোলা- আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন ১০৫৭নং দাগে। অথচ ওই দাগের জমি পার্শ্ববর্তী সোহাগ পন্ডিতের দখলে আছে। আদালত ঐ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আবুল কালাম গংরা আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে এবং ২০১৬ সালে কালাম গংরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঐ মামলায় ১০৫৭ মং দাগে সোহাগ পন্ডিত, আবুল কালাম গংদের রায়ের বিরুদ্ধে সোহাগ পন্ডিত ঐ রায়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করান। পরে আমরা , স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন মাধ্যমে মোস্তফা গং দের, আবদুস সাত্তার, গোলমেহের, রেনু বিবি ও আবুল কালাম গং দের শাহে আলম, আবু তাহের সহ, তাদের কে বিচারের বসায়। বিচার কাজ পরিচালনায় ছিলেন, লালমোহনের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সিরাজ পঞ্চায়েত, ফারুক মাল, গোলাম কিবরিয়া, (জুয়েল হাওয়ালার) মামুনুর রশিদ(গাজী পন্ডিত) মোতাহার হোসেন, বজলুল রহমান সহ সকলের মাঝে কাগজ অনুযায়ী জমি সঠিক ভাবে বন্টন করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং আমাদের কে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতে জমি মেপে সীমানা নির্ধারন করেন। রেনু গং জানান,আমরা কয়েকটি রেন্ড গাছ বিক্রি করলে,আবুল কালাম গংরা ভোলা থেকে সাংবাদিক এনে আমাদের ও স্থানীয় শালিশদের বিরুদ্ধ মিথ্যা ও বৃত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও শালিশদের কাছে আমাদের কাগজপত্র অনুযায়ী সঠিক ন্যায় বিচারের আশা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
ব্রেকিং নিউজ