জেলা প্রতিনিধিঃ
শাহজাদপুর শহর রক্ষা বাধে ভাঙ্গন। সেনাবাহিনীর নদী খননের বালু বিক্রি। প্রবল বেগে পানি গড়ে ব্লক ধস। লোকেশন শাহজাদপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড পুকুরপাড় করোতোয়া নদী খনন।
সেনাবাহিনীর কারিগরি সহায়তায় বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানির বাস্তবায়ন করা নদী খননের এই সমস্ত বালির অবৈধ ভাবে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে লাভবান ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিবর্গ।
বিশ্বাস বিল্ডাস্ কোম্পানি মেনেজার কামরুজ্জামান বলেন এটা সেনাবাহিনীর কাজ শহর রক্ষা বাধের ব্লক ভেঙ্গে সম্পর্ন বাধঁ অরক্ষিত অবস্থা। 01313052151 নম্বরে ফোন দিলে তিনি উচ্চ কন্ঠে বলেন এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ আমরা সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করছি এখানে দেখার মতো নেই কেউ ; এই যে একটা নৌরাজ্য ইচ্ছা স্বাধীন জবাবদিহি করতে রাজি নয় কেউ লক্ষ লক্ষ টাকার বালি বিক্রয়ের এ যেন এক প্রতিযোহীতা।
শাহজাদপুরে আইন না মেনে নদী খননের বালি বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অরুণ খানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন জেলার শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর তীর ঘেষা গারাদহ ইউনিয়নের চর নবীপুর ও পুরান টেপড়ি এলাকা ঘুড়ে ও ভুক্তভোগি এলঅকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, এই দুটি গ্রামের রাস্তা সংলগ্ন প্রায় তিন শতাধিক বিঘা ফসলি জমিজুরে সারি সারি বালি স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য পস্তুত। প্রকৃতপক্ষে এই বালি বিক্রয় করছে বিশ্বাস বিল্ডাস্ কোম্পানি অরুন খান ও তার লোকজন।
এলাকাবাসীকে ধোকা দিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনেই অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ব্যাবসায়ী। অযুহাত দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম ভাঙ্গীয়ে ব্যক্তি লাভবান হতে ব্যবহার করছেন প্রতিষ্ঠান গুলি সেনাবাহিনীর নাম।
সেনাবাহিনীর উত্তোলিত বালি রাখার জন্য জায়গা দেওয়ায় উত্তোলিত বালির ৪০ শতাংশের মালিকানা আমার। এই বালি আমি বিক্রি করছি। সরকারিভাবে বালি বিক্রির বিধান রয়েছে কিনা বা ৪০ শতাংশ বিক্রির পর বাকি ৬০ শতাংশ বালি কোথায় এমন প্রশ্নের জবাব দেননি ঐ ব্যাবসায়ি।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো যায় কিছু জমি প্রলোভন দেখিয়ে বাকিটা জোরপূর্বক লিজ নিয়ে জমি মালিকদের নামে আবেদন করে জমি উচুকরনের নামে এই সকল বালি স্তুপ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই বালি বিক্রয় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ি নদী খননের বালি শুধুমাত্র জমি ভরাট, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে ব্যাবহার করার কথা। বাকিটা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিলামে বিক্রির বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সম্পুর্ন বালি বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তবে অদৃশ্য কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
(২য় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন)